cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে যেমন চিন্তা আছে, তেমনি জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লাও চিন্তায় ফেলেছে মালিকপক্ষকে। কারণ, কয়লাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না করা গেলে বিস্ফোরণের ঝুঁকি আছে। এক্ষেত্রে নির্ভর করতে হচ্ছে সোমালিয় দস্যুদের মর্জির ওপর। জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, নিজেদের ক্ষতি এড়াতে সহযোগিতা করবে জলদস্যুরা।
সাগরে বাল্ক জাহাজে কয়লা পরিবহনে ৫ ধরনের বিপদের শঙ্কায় কিছু নিরাপত্তা পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জাহাজের খোলের ভেতরে মিথেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং অক্সিজেনের পরিমাপ নিতে হয়। বের করে দিতে হয় নির্ধারিত মাত্রার বেশি গ্যাস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বদ্ধ জায়গায় কয়লা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া মিথেনের পরিমাণ বাড়লে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এ ছাড়া কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকিও থাকে।
এসব বিবেচনায় সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের কয়লা নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে কি না–তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মালিকপক্ষ ও বিশ্লেষকেরা।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কয়লার কনসেন্ট্রেশন মেপে দেখতে হয়। বিস্ফোরণের মাত্রার ওপরে উঠে গেলে এটার ফোর্স মেইনটেইন করতে হয়। ফোর্স মেইনটেইন করে মাত্রাতিরিক্ত গ্যাস বের করে দিতে হয়। এটা ২৪ ঘণ্টার একটা প্রক্রিয়া।
মেরিটাইম খাতে কয়লাবাহী জাহাজ ঝুঁকিপূর্ণ কার্গো হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের জাহাজ তদারকির জন্য বিশেষ নির্দেশনা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসআর শিপিংয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজে যেহেতু আমাদের টেকনিক্যাল পারসন আছে, সুতরাং জলদস্যুরা সবসময় এই করণীয়টুকু করবেন। কারণ, আমরা মনে করছি, স্বার্থরক্ষা, জাহাজ নিরাপদ ও আবাসস্থল নিরাপদ রাখার স্বার্থে নাবিকদের সহযোগিতা করবেন জলদস্যুরা।’
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক নিয়ে সোমালিয়া উপকূলের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরে ভাসছে জাহাজটি। এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি দস্যুরা।